আদানি গ্রুপের ‘আদানি এনার্জি সলিউশন্স’-এর সঙ্গে যৌথ উদ্যোগে বিদ্যুৎ পরিকাঠামো প্রকল্প গড়ে তুলতে চুক্তি করেছিল কেনিয়া। কিন্তু দেশটির আদালতের রায়ে সেই চুক্তি ধাক্কা খেয়েছে। আদালতের রায়তে যা অনির্দিষ্ট কালের জন্য ঠান্ডা ঘরে গেল বলে মনে করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, আদানি গোষ্ঠীর সঙ্গে ‘কেনিয়া ইলেকট্রিক্যাল ট্রান্সমিশন কোম্পানি’র (কেট্রাকো) চুক্তি হয়েছিল। এই প্রকল্পের জন্য আদানি এনার্জিকে ৭৩ কোটি ৬০ লক্ষ ডলার দিতে রাজি ছিল পূর্ব আফ্রিকার দেশটির সরকার। পরিকাঠামো প্রকল্পের মধ্যে ‘ট্রান্সমিশন লাইন’ তৈরির কথা ছিল আদানি গোষ্ঠীর।
কেট্রাকো এবং আদানি গোষ্ঠীর মধ্যে হওয়া চুক্তি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় কেনিয়া ল’ সোসাইটি। চুক্তিটির শর্ত কর্মীদের সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী বলে অভিযোগ তোলেন তারা। পাশাপাশি, নানা কারণে তা গোপনীয়তার দোষে দুষ্ট বলেও দাবি করা হয়। চলতি বছরের ২৬ অক্টোবর এই মামলার রায় ঘোষণা করেছে কেনিয়ার হাই কোর্ট।
কেট্রাকো এবং আদানি এনার্জির মধ্যে হওয়া চুক্তিতে সেই নিয়ম ভাঙা হয়েছে বলে আদালতে জানিয়েছে কেনিয়া ল’ সোসাইটি। এ প্রসঙ্গে কেনিয়ার হাই কোর্ট বলেছে, এই মামলার ফয়সালা না হওয়া পর্যন্ত চুক্তিটি নিয়ে এগোতে পারবে না কেনিয়ার সরকার। ৩০ বছরের মেয়াদে কেট্রাকো ও আদানি গোষ্ঠীর মধ্যে ওই চুক্তি হয়েছিল। শুনানি চলাকালীন ল’ সোসাইটির তরফে একে ‘সাংবিধানিক প্রতারণা’ ও ‘গোপনীয়তার সঙ্গে অবিচার’ বলে উল্লেখ করা হয়। এই প্রকল্পে কেনিয়াবাসীর ‘অর্থপূর্ণ যোগদান’ না থাকার যুক্তিও খাড়া করা হয়েছে।
এর আগে কেনিয়ার রাজধানী নাইরোবিতে জোমো কেনিয়াট্টা আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর চুক্তিভিত্তিক অধিগ্রহণের জন্য উদ্যোগী হয়েছিল গৌতম আদানির গোষ্ঠী। যা বাস্তবায়নে সাময়িক স্থগিতাদেশ জারি করেছে সেখানকার স্থানীয় একটি আদালত। চুক্তি বাস্তবায়িত হলে আগামী ৩০ বছরের জন্য এই বিমানবন্দরের মালিকানা থাকত আদানিদের হাতে।
কেনিয়ায় বিমানবন্দর পরিচালনার দায়িত্বভার না পাওয়া আদানি গোষ্ঠী ধাক্কা খেয়েছিল। তবে তার প্রভাব আদানি এয়ারপোর্টের স্টকের সূচকে মারাত্মক ভাবে পড়েনি। কেনিয়ায় পরপর দু’টি প্রকল্প হাতছাড়া হওয়ার পর আর্থিক বড় ক্ষতিই হলো আদানি গ্রুপের।
সূত্র: আনন্দবাজার